সুন্নি থেকে শিয়া হওয়া সহজ: আজিজ রজভী

Aziz Razavi
By -
0


সুন্নি থেকে শিয়া হওয়া খুব বেশি জটিল না; একদম সহজ। এ জন্য অনেক যুবক শ্রেণির সুন্নি ভাইয়েরাও যোগ দিচ্ছে শিয়াবাদে। কারণ শিয়াদের বাহ্যিক অনেক আমল-আখলাকের সাথে সুন্নিদের মিল আছে। যদিও মৌলিক আকিদা-বিশ্বাসে কোনো মিল নেই। কেননা, শিয়া একটি ইসলাম নামধারী বাতিল ফিরকা।

শিয়ারা আহলে বায়তে রাসুল (ﷺ)-কে ভালোবাসে। সুন্নিরাও ভালোবাসে। খারেজিরা আহলে বায়তকে সহ্য করতে পারে না; ভালোবাসে না। তবে সুন্নি-শিয়া উভয়েরটা ভালোবাসা মনে হলেও, শিয়াদের ভালোবাসা এটি একটি ধোঁকা। অতিরঞ্জন ও অতিভক্তি। সুন্নিদের প্রেমই খাঁটি প্রেম৷ খাঁটি ভালোবাসা।

এ জন্যই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ফরমান, হে আলি! তোমার উদাহরণ আল্লাহর নবি ইসা (আ.)-এর মতো। একদল ইসাকে ভক্তি করে ধ্বংস। আরেকদল ভক্তি না করে ধ্বংস। হাদিসের ভাষ্য থেকে জানা যায়, শিয়া-খারেজি উভয় বাতিল ফিরকার অন্তর্ভুক্ত।

কেননা, খ্রিষ্টানরা যেমন ইসা (আ.) কে ভালোবাসতে গিয়ে রবের পুত্র বলে ধারনা করে বসছে, ইসা-মারইয়ামের মূর্তি বানিয়ে পূজায় লিপ্ত হয়েছে। আরকেদল তার নবুয়তকে অস্বীকার করে কাফির হয়ে গেছে। ঠিক শিয়া-খারেজিরাও তাই হয়েছে। সহজ-সরল মুসলমানরা অভ্যন্তরিন এই মারপ্যাঁচ বুঝতে না পেরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছে। সুন্নি থেকে শিয়া চর্চা মেতে উঠছে। ধীরেধীরে শিয়া মতবাদে প্রভাবিত হচ্ছে।

সুন্নি অঙনে যেসব আমল প্রশ্নবিদ্ধ, মনে রাখবেন তার অধিকাংশই শিয়াদের আচার বা নিদর্শন। এসবের সাথে আকায়িদে আহলে সুন্নাহর কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন- কবরবিহীন মাজার বানানোর প্রবণতা। মুহাররামের পুরো মাস শোকের মাস বলে মনে করা। মুহাররাম মাসে বিবাহ শাদী নিষিদ্ধ মনে করা। কবর-মাজারে গান-বাজনার আসর জমানো। মৃত ধোয়ার স্থানে মাইয়্যতের জন্য পানির কলস রাখা। মৃত মানুষের ছবি বা ভাস্কর্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা।

এ রকম শত শত বিদআত-কুসংস্কারের উদাহরণ তুলে ধরতে পারবো৷ যেসব বিদআত ও কুসংস্কারের কারণে মানুষ সুন্নিদেরকে ভণ্ড বলে। মাজার বা কবর পূজারি বলে। শিরক-বিদআতী বলে। অনেক মূর্খ সুন্নিরাও এসবকে নিজেদের আচার বা নিদর্শন বলে মনে করে। অথচ এগুলো শিয়াদেরই নিদর্শন। এসবের আবিষ্কার শিয়ারাই করেছে।

যারা ইরান সফর করেছে, পরিচিত এমন কেউ থাকলে জিজ্ঞেস করবেন। আমি জিজ্ঞেস করেছি। ইরানে যারা প্রকৃত শিয়া, তাদের ধর্ম চর্চার রীতি-নীতি সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহ বিবর্জিত। মনগড়া। শিরক-বিদআতে আচ্ছন্ন। তাদের কিছুই সমগ্র মুসলমানদের সাথে মিলে না। কালিমা, আজান, ইকামত, নামাজ, তিলাওয়াত, জিয়ারত সব কিছুই অন্য রকম। সব কিছুই মনগড়া। তবে না জেনে কাউকে শিয়া বলা। আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা দেখলেই শিয়া বলে সম্বোধন করা। এটা একধরণের মূর্খতা। দ্বীনের সাথে গাদ্দারি।

 

 রচনা: ২৯ জুন-২০২৫ খ্রিস্টাব্দ



Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)